এবনে গোলাম সামাদ ও বুদ্ধিজীবী মহলের মালিকানা

নিবিষ্টমনে পড়ছেন এবনে গোলাম সামাদ
জামাত রোগী হলে তাদের ঐতিহাসিক রোগরে রাজনৈতিকভাবে সুস্থ হতে বাধ্য করবে অন্যরা। তা না কইরা জামাতরে ছোঁয়াচে রোগী বানাইয়া মসনদের ফায়দা হাছিল করার ট্রেন্ড শুরু করলেন তারা। এই ছোঁয়াচে রোগ থেকে মুক্তি পান নাই কোনও অ-শাহবাগী, কিম্বা কমিউনিজম ত্যাগী! আল মাহমুদ থিকা শুরু কইরা ড. মোহর আলীসহ গোলাম সামাদ অবধি এই রোগ ছাড়াইয়া বুদ্ধিজীবীতারে বাপ-দাদার সম্পত্তি বানাইছেন দালাল আর্টকাল্চার মারানিরা। জামাতরে নাই করা হয় না, সংস্কারে শুদ্ধও করা হয় না কেবল রোগ ছড়াইবার লাগি।
এবনে গোলাম সামাদ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সাংস্কৃতিক যে ইমিটেশন তা তিনি প্রজ্ঞা দিয়া বাতচিত করতে পারছেন। এমনকি বিদেশের সম্রাজ্যবাদী নীতিগুলারে চিহ্নিত কইরা বাংলাদেশ রাষ্ট্ররে মেরামতের সুণিপুন পথের সুপরামর্শও দিতে পারছেন। কিন্তু এবনে গোলাম সামাদ বানোয়াট ঢাকাই বুদ্ধিজীবি মহলে নাই কেন, প্রশ্ন ?
বাংলাদেশের বইয়ের মার্কেটও খারাপ অর্থে সাম্প্রদায়িক। সবচে বড় বই-বেনিয়া বাতিঘরের কথাই যদি বলি, তবে দেখবেন মরার পরে আল মাহমুদ এভেইলেবল হইছেন তাদের শেল্ফে। জীবিত ফরহাদ মজহাররে পাইবেন না, ড. গোলাম সামাদরে পাইবেন না, ড. মোহর আলীরে পাইবেন না। কিন্তু মডার্নিস্ট হা হুতাশের প্রেমে ভরপুর কলকাত্তাই কোনও কবিরে না পাইবেন না তাদের শেল্ফে।
বাংলাদেশের জ্ঞানতাত্ত্বিক বাজারে কলকাতার যে ইজারা, তা আপনি বুঝবেন এবনে গোলাম সামাদের মত বুদ্ধিজীবিদের বই বাজারে না থাকা দেখলে!
আজব বাজার! যেখানে শ্রীপান্থরে পাইবেন কিচ্ছা ফরমেটে ইতিহাসরে বেচতেছেন। কিন্তু ড. আব্দুর রহিমরে পাইবেন না, সামাজিক সাংস্কৃতিক বিবেচনায় ইতিহাসরে যুক্তিপূর্ণ কইরা তুলছেন বলে। রহিম মার্কেট আউট বরাবর।
বাতিঘর আইবার আগে সিলেটের বড় বইয়ের দোকান ছিল ‘বইপত্র’, সেটা প্রায় কলকাতার জ্ঞানের হেরেমঘরই ছিল বলা যায়। আমি সোনালি কাবিনটা খুঁজতে গিয়া পাই নাই। পরে একজন বলছিলেন, এসব পিছনের স্টক-রুমে রাখা হয়। খুঁজে আইনা দিছিলেন।
জাতিভেদি পড়াশুনার এই ক্রিটিক্যাল মুখোশ উন্মোচন করা দরকার না ? যুগের স্রোত সবসময় দাসত্ব বরণ করে না, সময় এখন। এবনে গোলাম সামাদ পইড়া মনে হয়, জাতির আগাম এলার্ম তিনি আন্দাজ করেন বিচক্ষন দৃষ্টিতে।
‘কোনো জাতির জীবনে একটা যুদ্ধই শেষ যুদ্ধ নয়। অনেক যুদ্ধ করেই বাঁচতে হয় একটা জাতিকে। চীন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে প্রয়োজনে সৈন্য সমাবেশ ঘটাতে পারে। ভারত বাংলাদেশকে কব্জা করতে চাইলে চীন কী নীতি গ্রহন করবে তা স্পষ্ট নয়। তবে মনে হয় উপমহাদেশে বড় কিছু ঘটতে পারে।’
এবনে সামাদের এই ভবিষ্যত সন্দেহের ঘোরে আজকের রাজনীতি। কিন্তু আফসোস ঢাকাই বালপাকনা বুদ্ধিজীবিদের নিয়া, তারা নিজেরে বুদ্ধিজীবি চিনাইবার লাগি আলাপের বিষয় হিশাবে নিছে একে অন্যরে ট্রল করা।
আজ এবনে গোলাম সামাদের জন্মদিন। প্রান্থ থেকে তাঁর পাঠ বিস্তৃত হোক, এই কামনা করছি।
লেখকঃ ওয়াহিদ রুকন, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

Like this article?

Leave a comment

জনপ্রিয় লেখাসমূহ

জনপ্রিয় বিভাগসমূহ