প্রফেসর ড. এবনে গোলাম সামাদ উদ্ভিদবিজ্ঞানের শিক্ষক এবং গবেষক ছিলেন। এটা ছিল তার জীবিকার উৎস। কিন্তু উদ্ভিদবিজ্ঞানী হবেন এমন কোনো লক্ষ্য তিনি শৈশব-কৈশোরে লালন করেননি। এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যেমনটা ঘটে অনেকের বেলায়, ছাত্রের পছন্দ-অপছন্দ বা ইচ্ছা-অনিচ্ছা গুরুত্ব পায় না, সে রকম হয়েছিল তার ক্ষেত্রেও। কিভাবে-কিভাবে যেন তিনি উদ্ভিদ বিজ্ঞানে এসে পড়েছিলেন। আর এসে পড়ার পর ক্রমশই ঢুকেছেন এর ভেতরে। উদ্ভিদ বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি করেছেন প্যারিস এবং লন্ডনের নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন অত্যন্ত নিষ্ঠা ও নিবেদনের সাথে। ছাত্র-শিক্ষকদের পড়াশোনায় কাজে লাগবে এ রকম বইও লিখেছেন, যেমন ‘উদ্ভিদ সমীক্ষা’ (১৯৬৬) ও ‘প্রাথমিক জীবাণুতত্ত্ব’ (২০০৭)। পেশাগত জীবনে সত্যিকারের একজন শিক্ষকের সব ধরনের ভূমিকা সাফল্যের সাথে পালন করেছেন প্রফেসর সামাদ যা বাংলাদেশে অনেকটাই দুর্লভ। তার কর্মস্থল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা-করা এবং ছাত্র-বান্ধব শিক্ষক হিসেবে তার সুনাম অক্ষুণœ ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
তিনি চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন। অনেক ছবিও এঁকেছেন, কিন্তু চিত্রকর হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে শৈশব-কৈশোরের এই লালিত আকাক্সক্ষা সেভাবে পূরণ না হলেও শিল্পকলা নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছেন, লিখেছেন এ বিষয়ের ওপর আকর গ্রন্থ- ‘শিল্পকলার ইতিকথা’ (১৯৬০), ‘ইসলামী শিল্পকলা’ (১৯৭৮) এবং ‘মানুষ ও তার শিল্পকলা’ (২০০৬)। এভাবে হয়েছেন শিল্পকলার বিশেষজ্ঞ।
তার জ্ঞানস্পৃহা ছিল বহুমুখী। নিজের একাডেমিক জগতের বাইরে এত বিচিত্র বিষয়ে গভীর জ্ঞানার্জন এবং গ্রন্থরচনার উদাহরণ খুব কমই আছে। বাংলাদেশে নৃতত্ত্ব নিয়ে তিনিই প্রথম বই লেখেন। ‘নৃতত্ত্ব’ নামের এই বইটি বাংলা একাডেমি ১৯৬৭ সালে প্রকাশ করে। এ ছাড়া ইতিহাস, সাহিত্য, ধর্ম, সংস্কৃতি, রাজনীতি, কৃষি, অর্থনীতি, যুদ্ধ, কূটনীতি, নানা বিষয় নিয়ে লিখেছেন তিনি। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে বিক্ষিপ্তভাবে যখন যা ভালো লেগেছে তার চর্চা করেছেন। কিন্তু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে আপাতবিক্ষিপ্ত এসব বিষয়ের মধ্যে একটা অন্তর্গূঢ় সম্পর্ক রয়েছে। যা-কিছুই তিনি পড়–ন বা লিখুন না কেন তার অভিমুখ হচ্ছে বাংলাদেশ এবং এই ভূখণ্ডের মানুষ।
নানা ঐতিহাসিক উত্থান-পতন এবং টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রটির অভ্যুদয় ঘটেছে। এখন আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রটিকে স্বাধীন ও সার্বভৌম হিসেবে টিকিয়ে রাখা। দ্বিতীয়ত, কেবল টিকিয়ে রাখাই নয়, মর্যাদাবান ও সমৃদ্ধ জাতিরাষ্ট্র হিসেবে এর বিকাশ ও ক্রমোন্নতি নিশ্চিত করা। কাজটা কঠিন, কারণ জন্মলগ্ন থেকেই বিচিত্র জটিলতা রাষ্ট্রটিকে পেয়ে বসেছে। এই জটিলতার আবর্তে পড়ে একেক সময় একেক দিকে ছুটে চলেছে। তার মূল কারণ আত্মপরিচয়ের সঙ্কট। জাতিসত্তার প্রশ্নে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী দ্বিধাহীন বা নিশ্চিত হতে পারেনি। এই দ্বিধা এবং অনিশ্চয়তাকে আরো গভীর ও জটিল করে তোলার বহুমুখী চক্রান্ত চলে আসছে শুরু থেকেই। মূলত এই বিষয়টিকে অভিমুখ করেই এবনে গোলাম সামাদের যাবতীয় জ্ঞানচর্চা আবর্তিত হয়েছে। এই দ্বিধা ও অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য প্রয়োজন যে ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, শিল্পকলা, সংস্কৃতি, ধর্ম, সাহিত্য, প্রভৃতি বিষয়ের জ্ঞান ও চর্চা এবনে গোলাম সামাদ তাকেই তার নিজস্ব অধ্যয়ন ও গবেষণা ও লেখালেখির কেন্দ্রে স্থাপন করেছেন।
তিনি নিজেকে অভিজ্ঞতাবাদী বলে পরিচয় দিতেন, যদিও তা ঠিক তাত্ত্বিক অর্থে নয়। একজন মানুষ দেখে-শুনে-পড়ে কোনো বিষয় সম্পর্কে যা জানতে পারে তা-ই তার অভিজ্ঞতা। এ রকম একই ধরনের অভিজ্ঞতা অনেক মানুষের হতে পারে, কোনো কোনো অভিজ্ঞতা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরেও একই হতে পারে। এভাবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সামষ্টিক অভিজ্ঞতায় উন্নীত হয়। বহু জনের বা বহু প্রজন্মের অভিজ্ঞতা মানুষ অনেকটা নির্দ্বিধায় বা বিনা সঙ্কোচে গ্রহণ করে থাকে। আমাদের অশিক্ষিত কৃষকরা যে এত দিন কৃষিকাজ করে আসছেন এ বিষয়ে কোনো ধরনের অ্যাকাডেমিক শিক্ষা ছাড়াই তা সম্ভব হচ্ছে এই অভিজ্ঞতার কারণেই। অন্যান্য পেশার লোকেরাও, যেমন কাঠমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, কামার, কুমোর ইত্যাদি একইভাবে কাজ করেন। ব্যক্তির, পরিবারের, সমাজের, জাতির বা রাষ্ট্রের জীবনের সব ক্ষেত্রেই বিচিত্র রকম অভিজ্ঞতা হয়। এই অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করেই মানুষ পরবর্তী বা ভবিষ্যতের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এবনে গোলাম সামাদ মানুষের এই অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন সব সময়, সব ক্ষেত্রে, এমনকি রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও। তবে এতে কিছু সমস্যাও আছে। কারণ, অভিজ্ঞতা কখনো কখনো ভুলও হতে পারে। যেমন আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমরা সূর্যটাকে দেখি একটি থালার মতো। অথচ বাস্তবে সূর্য তা নয়, বরং সেটা একটা বিশাল অগ্নিকুণ্ড। নক্ষত্রগুলোকে আমাদের মনে হয় জোনাকির মতো ক্ষুদ্র, আদতে তা কল্পনাতীত বিশাল আকারের। সুতরাং অভিজ্ঞতাকেও যাচাই করে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে। প্রফেসর সামাদ অভিজ্ঞতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও সেটিকে তিনি অতীতের এবং সমকালের জ্ঞাত ও প্রমাণিত তথ্য দ্বারা বিচার করতেন। তিনি মনে করতেন কোনো আরোপিত জ্ঞানকে কাজে লাগানোর সময় অভিজ্ঞতার কষ্টিপাথরে তাকে যাচাই করে নেয়া ভালো। তার এই গবেষণা বা জ্ঞানচর্চার রীতি সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি, কিন্তু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে তাঁর সকল লেখায় তার প্রয়োগ শনাক্ত করা যায়।
প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদের রচনাবলি পাঠ করলে বোঝা যায়, তার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয় শনাক্ত করা, তাকে বিনির্মাণ ও বিকশিত করা। তার সামনে এ সম্পর্কিত ইতোমধ্যে তৈরি করা ‘রেডিমেড’ তথ্য ও বয়ান মজুদ ছিল। কিন্তু ‘অন্ধের মতো সেসব তথ্য ও বয়ান তিনি গ্রহণ করেননি। কারণ, অতীত ও বর্তমানের অভিজ্ঞতা এসব তথ্য ও বয়ানকে সমর্থন করে না। তিনি নৃতত্ত্ব, শিল্পকলা, ইতিহাস ও সাহিত্য ঘেঁটে এই ভূখণ্ড এবং জনগোষ্ঠীর মৌলিক মানবিক বৈশিষ্ট্য, আবেগ, বিশ্বাস, প্রবণতা, অভ্যাস, ধর্মাচরণ, ভাষা ও দৈনন্দিনতাকে আবিষ্কার করেছেন এবং তার ভিত্তিতে তার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে শনাক্ত করেছেন, তারপর বলেছেন সমকালে ও ভবিষ্যতে জাতির কী করা উচিত। বাঙালি মুসলমানরা যে একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তার অধিকারী তা তিনি তথ্য-উপাত্ত সহযোগে ব্যাখ্যা করেছেন।
দুই
খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন এবনে গোলাম সামাদ। মিশতেন সাধারণ মানুষের সাথে। সবজিবিক্রেতা, মুদির দোকানি, রিকশাচালক, দোকানের কর্মচারী, বইবিক্রেতা, এরাই ছিল তার দৈনন্দিন আলাপ-গল্পের মানুষ। আর পছন্দ করতেন সাংবাদিকদের সাথে আড্ডা দিতে। আপ-টু-ডেট খবর রাখতেন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক জগতের। তার একটা প্রবণতা ছিল লক্ষ্য করার মতো। সেটা হলো প্রশ্ন করা, বিতর্ক তৈরি করা। আপনি যদি আমেরিকার পক্ষ নেন তো তিনি নেবেন রাশিয়ার পক্ষ। বিতর্কে তিনি প্রতিপক্ষকে উসকে দিতেন, এভাবে জেনে নিতেন তার যুক্তি ও দৃষ্টিভঙ্গি। সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস, ধারণা এবং আকাক্সক্ষাকে তিনি খুব গুরুত্ব দিতেন। তিনি ছিলেন জ্ঞানের ভাণ্ডার। আর ছিল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব। যেকোনো বিষয়েই হোক, তার ঠোঁটে উত্তর যেন আগে থেকেই মজুদ থাকত। সহজে রাগ করতেন না, যদিও একবার না বললে হ্যাঁ করানো মুশকিল ছিল। একটি পত্রিকায় লিখতে রাজি করানোর জন্য আমাকে তার পেছনে মাসের পর মাস সময় দিতে হয়েছে। তার সংসারে আর্থিক অনটন ছিল, চিকিৎসার টাকা জুটতো না, তবুও অর্থের প্রত্যাশায় জ্ঞান চর্চা করেননি কখনো। ফরমায়েশি লেখা তাকে দিয়ে লেখানো যেত না। যা তিনি বিশ্বাস করতেন না তার অস্তিত্বকে সমর্থন করতে তিনি কোনো অবস্থাতেই সম্মত হতেন না।
প্রফেসর সামাদ শেষ জীবনে কলামিস্ট হিসেবেই অধিক খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। বাংলাদেশে কলাম বলতেই একদেশদর্শী বয়ানের ফুলঝুরি বোঝায়, যেখানে থাকে কিছু সত্যের সাথে অধিক অর্ধসত্য কিংবা মিথ্যার মিশেলে বানানো কাহিনীর বিস্তার। তিনি এই দুর্নাম থেকে কলামিস্টদের উদ্ধার করেছিলেন। তার কলামগুলো ছিল প্রবন্ধ ও নিবন্ধের মতো, তাতে থাকত প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক তথ্য এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচিত বিষয়ের বিশ্লেষণ। তার সাথে তার নিজস্ব মতামত ও দিকনির্দেশনাও জুড়ে দিতেন, কখনো প্রত্যক্ষভাবে, কখনো পরোক্ষভাবে।
বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ (আনুমানিক) বুদ্ধিজীবীই একচক্ষু হরিণের মতো, তারা এক দিকে দেখেন তো আরেকদিক সম্পর্কে থাকেন সম্পূর্ণ অন্ধ। আরো মারাত্মক ব্যাপার হচ্ছে তাদের এই পক্ষপাতদুষ্টতা ইচ্ছাকৃত। প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদ ছিলেন এর ঘোর বিরোধী। তিনি কোনো রাজনৈতিক আদর্শ, দল বা গোষ্ঠীর আনুগত্য করেননি। অন্ধভাবে কারো সমর্থন বা বিরোধিতা করতেন না, না ব্যক্তিগত পর্যায়ে না জাতীয় পর্যায়ে, না বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে, না ব্যবহারিকভাবে। কোনো দল বা গোষ্ঠী তার সত্যিকারের আপন ছিল না, তিনিও কোনো দল বা গোষ্ঠীর চিরকালের আপন ছিলেন না। সে জন্য বাস্তব জীবনে তাকে অনেক ভুগতে হয়েছে, আর্থিকভাবে এবং সামাজিকভাবেও, যেমন- বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার তার প্রমোশন আটকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ‘দেশ, জাতি এবং মানুষের জন্য কল্যাণকর এবং করণীয় বিষয়ে কারো রাগ বা বিরাগের পরোয়া করেননি তিনি। স্বাধীন বুদ্ধিবৃত্তির চর্চা করেছেন সব সময়। সত্যিকারের জ্ঞানান্বেষী বুদ্ধিজীবী হিসেবে তার আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিপরীত মতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীল মনোভাব। মতভিন্নতাকে তিনি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবেই দেখেছেন এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবেই তার বিরোধিতা করেছেন প্রাসঙ্গিক ও প্রামাণ্য তথ্য উপস্থাপন ও যুক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে। অদম্যতা, আনুগত্যহীনতা, বস্তুনিষ্ঠা, স্বাধীন চিন্তা এবং পরমতসহিষ্ণুতা তাকে চিন্তক হিসেবে বিশিষ্ট করে তুলেছে এবং সত্যিকারের বুদ্ধিজীবী হিসেবে উচ্চ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।
এবনে গোলাম সামাদ (জন্ম ২৯ ডিসেম্বর, ১৯২৯) গত বছরের (২০২১) ১৫ই আগস্ট ইন্তেকাল করেছেন। তিনি আর লিখবেন না। কিন্তু ‘যে-পরিমাণ রচনা তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন সেটিও কম নয়। তার প্রকাশিত কয়েকটি বই এখন আর বাজারে পাওয়া যায় না। তার রচনার পরিমাণও বিশাল। সেগুলোর সঙ্কলন, প্রকাশ ও প্রচার দরকার। এ কথা ঠিক যে তিনি বিচিত্র বিষয়ে বিচিত্র ধরনের লেখা লিখেছেন। সে কারণে তার অনেক চিন্তা ও মত বিক্ষিপ্ত থেকে গিয়েছে যা তার সমগ্র রচনাবলি না পড়লে বোঝা ও আয়ত্ত করা সম্ভব নয়। সাধারণ পাঠকের জন্য সেটি কিছুটা কষ্টকর। সেজন্য এবনে গোলাম সামাদের জ্ঞানচর্চার বিষয়গুলোকে পদ্ধতিগতভাবে বিন্যস্ত করা প্রয়োজন। একাজে গবেষকদের এগিয়ে আসতে হবে।
লেখক : নাজিব ওয়াদুদ, কথাসাহিত্যিক, অনুবাদক ও নন্দন সম্পাদক। দৈনিক নয়াদিগন্তে প্রথম প্রকাশিত ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২।