দক্ষিণ এশিয়ার নানা জায়গায় বিভিন্নভাবে পঞ্জিকা রচনার পদ্ধতি ছিল। যার বিবরণ পাওয়া যায় প্রধানত দু’টি বই থেকে। একটি বই হলো স্যার আলেকজান্ডার কানিংহ্যামের ‘Indian Calendar’ গ্রন্থ। যার প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় কলকাতা থেকে ১৮৮৩ সালে। এরপর দক্ষিণ এশিয়ার ক্যালেন্ডার সম্পর্কে যে বইটিতে এ সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য পাওয়া যায়, তা হলো R Sewell এবং S B Dikcit লিখিত ‘Indian Calendar’ গ্রন্থ। যা লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয় ১৮৯৮ সালে।
আমরা সাধারণত এ উপমহাদেশের ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা সম্পর্কে যেসব কথা লিখি, তার ভিত্তি হলো এই দু’টি গ্রন্থ। গ্রন্থ দু’টি এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। তবে বাংলাদেশের ‘বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি’ গ্রন্থাগারে কিছু দিন আগেও বই দু’টি পড়া সম্ভব হতো। আমরা এখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রচলিত সন তারিখ নিয়ে যা বলতে যাচ্ছি, তার অনেক কিছুই এই দু’টি গ্রন্থ থেকে পাওয়া। উত্তর পশ্চিম ভারতে ব্রিটিশ শাসনামলে চলত বিক্রম অথবা সম্বত বর্ষ। ধরা হতো, যার প্রচলন করেন রাজা বিক্রমাদিত্য। সম্বত হলো যাকে বলা হয়, চন্দ্র-সৌর (Lunisolar year)।
অর্থাৎ এর মাস গণনা হয় চাঁদের মাসের হিসেবে। আর বছর গণনা হয় সৌর-সাল হিসেবে। আমরা এখন জানি, পৃথিবী বিশেষভাবে সূর্যের দিকে হেলে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। তাই ঘটে দিনের দৈর্ঘ্যরে হ্রাস-বৃদ্ধি। ঘটে ঋতু পরিবর্তন। বিভিন্ন ঋতুতে হয় বিভিন্ন ফসল। ফসল অনুসারে কৃষকের পক্ষে খাজনা দেয়া সহজ। তাই সৌর বছর সহায়তা করে রাজাকে খাজনা দিতো। সম্রাট আকবর তাই সৌর বছর গ্রহণ করেছিলেন খাজনা আদায়ের সুবিধার লক্ষ্যে। এই সালকে তিনি বলেন ‘ফসলি’।
আকবরের সাম্রাজ্য ছিল ১৫টি সুবায় বিভক্ত। তাহলো : আগ্রা, দিল্লি, আজমির, মালব, এলাহাবাদ, লাহোর, বাংলা, বেরার, মুলতান, বিহার, খামদেশ, অযোধ্যা, কাবুল, আমেদাবাদ এবং আহমদনগর। অর্থাৎ বাদশা আকবর একপর্যায়ে খাজনা উঠাবার সুবিধার জন্য এই ১৫টি সুবা বা প্রদেশেই প্রবর্তন করেছিলেন ফসলি সন।
কেন এখন ফসলি সনকে কেবল মাত্র বাংলার সন বলা হবে, সেটা বোঝা দুষ্কর। কিন্তু সেটাই এখন করা হচ্ছে। পাঞ্জাবে বাংলাদেশের মতোই নানা জায়গায় একসময় বৈশাখী মেলা বসত। ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের অমৃতসর শহরের জালিয়ানওয়ালাবাগে হচ্ছিল বৈশাখী মেলা। এই মেলাতে গণ্ডগোল থামাতে পুলিশকে চালাতে হয় গুলি। যার ফলে মারা যান কয়েক শ’ ব্যক্তি। জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা ঘটেছিল এখন থেকে ১০০ বছর আগে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার প্রতিবাদে ছেড়েছিলেন ব্রিটিশ প্রদত্ত তার স্যার খেতাব। আমরা ঘটনাটিকে এখানে উল্লেখ করছি, কারণ অনেকে বাংলাদেশে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন, বৈশাখ থেকে বছর গণনা যেন কেবল বাংলাদেশেরই বৈশিষ্ট্য; কিন্তু পাঞ্জাবে একসময় বছর গণনা করা হতো পয়লা বৈশাখ থেকেই।
বিষয়টি আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করছি এই জন্য যে, অনেকে এখন পয়লা বৈশাখ উদযাপন করতে গিয়ে টেনে আনতে চাচ্ছেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা; কিন্তু এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। পয়লা বৈশাখকে দাবি করতে পারেন, যদি চান তবে পাঞ্জাবিরাও। কেননা, বাংলার মতো পাঞ্জাবও ছিল মুঘল সুবা। আর সম্রাট আকবরকে নিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রচার করা যায় না, কেননা সমগ্র মুঘল যুগজুড়ে বাংলাদেশে হয়েছে বারভূঁইয়ার অভ্যুত্থান। মুঘল যুগে সুবে বাংলা শাসিত হয়েছে প্রধানত অ-বাংলাভাষী রাজ কর্মচারীদের দিয়ে। মুঘল আমলে বড় বড় রাজ কর্মচারী (মসনদদার) হতেন বাংলাদেশের বাইরের লোক। কিন্তু এখন আমরা মুঘল আমলে প্রবর্তিত ফসলি সালকে নিয়ে করতে চাচ্ছি অহঙ্কার।
মনে হচ্ছে এটা আমাদের দিল্লিপ্রীতিকেই যে বাড়াবার একটা প্রচেষ্টা মাত্র। কেন এটা করা হচ্ছে, আর যারা এটা করছেন, তারা সেটা কেন করছেন; সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে তাই মনে হয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কেননা, তা না হলে আমরা আমাদের জাতিসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে পারব না। বাদশা আকবরকে নিয়ে নয়, অতীতে আমরা গৌরব করতে চেয়েছি ঈশা খাঁন, উসমান, তাহের গাজী প্রমুখ বারভূঁইয়াদের নিয়ে।
বাংলা মাসের নাম হয়েছে একেকটা নক্ষত্রের নাম থেকে। যেমন- বিশাখা, জ্যেষ্ঠা, পূর্বাষাঢ়া, শ্রাবণা, পূর্বভাদ্রপদ, আশ্বিনী, কৃত্তিকা, মৃগশিরা (মার্গশীর্ষ), পুষ্যা, মঘা, পূর্বফাল্গুনী এবং চিত্রা। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, মার্গশীর্ষ মাসকে আমরা এখন বাংলায় সাধারণত বলি অগ্রহায়ণ। কারণ একসময় এই মাস থেকে ধরা হতো বছরের আরম্ভ; বৈশাখ মাস থেকে নয়। এই সময় বাংলাদেশে উঠত হৈমন্তিক ধান। যার মাধ্যমে কৃষক বাদশাকে দিতেন খাজনা। কেন কীভাবে অগ্রহায়ণ থেকে বছরের প্রথম গণনা আরম্ভ হতে পেরেছে বৈশাখ থেকে, সেটা বর্তমান লেখকের জ্ঞাত নয়।
বছরের এই সময়ে এমন কোনো ফসল ওঠে না, যা দিয়ে বাদশাকে খাজনা দেয়া চলে। যেমন চলে অগ্রহায়ণে হৈমন্তিক (আমন) ধান দিয়ে। তবে এখানে উল্লেখ করা যায় যে, আমাদের দেশে মহাযান বৌদ্ধরা পয়লা বৈশাখ থেকে বছরের সূচনা ধরতেন। কেননা গৌতমবুদ্ধ, ধরা হয় পয়লা বৈশাখে লাভ করেছিলেন তার বোধি, বিহারে বৌদ্ধ গয়াতে বোধিদ্রুমের (অশত্থ) নিচে। বাংলাদেশ একসময় ছিল মহাযান বৌদ্ধদের দিয়ে পরিব্যাপ্ত।
পৃথিবী থেকে দেখলে মনে হয় সূর্য যেন বছরের একেকটা সময় একেক ঝাঁক নক্ষত্রের মধ্য দিয়ে চলে যাচ্ছে। এই একেক ঝাঁক নক্ষত্রকে বলে রাশি। রাশিগুলোকে গোল করে সাজালে আমরা যা পাই, তাকে বলে রাশিচক্র। এই নক্ষত্রের এক একটি ঝাঁককে অতিক্রম করে যেতে সূর্যের যত সময় লাগে, তাকে বলে এক একটি মাস। কিন্তু যেহেতু এক একটি ঝাঁককে পেরুতে সূর্যের ঠিক একই সময় লাগে না, তাই সব মাসগুলোকে একই সংখ্যক দিনে ধরা যায় না। রাশিচক্র ধরে প্রথম বছর গণনা শুরু হয় প্রাচীন ব্যাবিলনে। তারপর তা সেখান থেকে নিতে হয় পৃথিবীর অন্যত্র।
এরকমই মনে করেন ইতিহাস-বেত্তারা। জুলিয়াস সিজার প্রথম লিপিয়ার সংযোগে ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করেন। যা খ্যাত হয়ে আছে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার হিসেবে। পোপ গ্রেগরি XIII জুলিয়াস সিজারকৃত ক্যালেন্ডারের সংস্কার করেন। যা হলো বর্তমান খ্রিষ্টাব্দ গণনার ভিত্তি। পোপ গ্রেগরির ক্যালেন্ডার এখন আমাদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, আমরা ইতিহাস লিখছি তার ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। সরকারি কাজকর্ম করছি তারই রচিত ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। যাকে সাধারণ কথায় কলা হয় ইংরেজি সাল, তা আসলে হলো পোপ গ্রেগরি XIII রচিত সন। এতে ইংরেজদের কোনো অবদান নেই।
ইংরেজরা প্রথমে পোপ গ্রেগরি XIII-এর সনকে মানতে চাননি ধর্মীয় কারণে। কেননা তারা ক্যাথলিক নন; কিন্তু পরে মেনে নেন। বাংলা একাডেমি বাংলা পঞ্জিকার সংস্কার সাধন করেছে। বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত মাস ধরা হয় ৩১ দিনে। আশ্বিন থেকে চৈত্র পর্যন্ত প্রত্যেক মাস ধরা হয় ৩০ দিনে। গ্রেগরি ক্যালেন্ডারে যে বছর লিপিয়ার থাকে, সে মাসে ফাল্গুন মাসকে ধরা হয় ৩১ দিনে। অর্থাৎ ক্যালেন্ডার সংস্কার করতে গিয়ে বেনামিতে বাংলা একাডেমি গ্রহণ করেছে পোপ গ্রেগরি XIII-এর ক্যালেন্ডারকে। এ ক্ষেত্রেও বাঙালি জাতীয়তাবাদের অথবা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিন্দুমাত্র কোনো স্বাক্ষর নেই।
কেবল মাসগুলোর নামই থাকছে বাংলায়। যে নামগুলো আবার হিন্দির সাথেও অভিন্ন। দক্ষিণ এশিয়ার সারা উত্তর ভাগেই চলে। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমায় চাঁদ অস্ত যাওয়ার সময় বিশাখা নক্ষত্রকে তার কাছে থাকতে দেখা যায়। তাই মাসটাকে বলা হয় বৈশাখ। চৈত্র মাসের পূর্ণিমাতে চিত্রা নামক নক্ষত্রকে একইভাবে দেখা যায় চাঁদের কাছে। তাই মাসটার নাম হয়েছে চৈত্র। কিন্তু এই নাম রীতি কেবল যে বাংলাদেশের, তা নয়। হিন্দুদের ধর্মকর্ম পালিত হয় চন্দ্র মাস অনুসারে। কিন্তু যখন চন্দ্র বছর ও সৌর বছরের মধ্যে এক মাসের ব্যবধান হতে দেখা যায়, তখন সেই মাসকে বাদ দেয়া হয় ‘মলমাস’ হিসেবে।
হিজরি চন্দ্র মাস। কিন্তু ইসলামে বর্তমানে যেভাবে বছর গণনা করা হয়, তা প্রবর্তন করেন হজরত উমর রা:। এর আগে আরবে (হেজাজে) কিভাবে মাস গণনা করা হতো তা নিয়ে মতভেদ আছে। আল কুরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহ চন্দ্র ও সূর্য সৃষ্টি করেছেন, যাতে বছরের সংখ্যা ও কাল বর্ণনা করা সম্ভব হয় (সূরা ১০ : ৫)। চন্দ্র বছরের জায়গায় সৌর বছর গ্রহণ করলে ইসলামের খেলাপ হবে, তা মনে করার কোনো কারণ আছে বলে অনুমিত হয় না।
কোনো একটি পত্রিকায় দেখলাম, আলমনাক শব্দটা ইংরেজি। কিন্তু এটা সম্পূর্ণই ভুল। আলমনাক শব্দটা হলো আরবি। মানে পঞ্জিকা। মুসলমানদের মধ্যে অনেক জ্যোতির্বিদ জন্মেছেন। যে সালটিকে বলা হচ্ছে ফসলি, তা এসেছে পারস্য থেকে। এর ভিত্তি হলো প্রাচীন পারস্যের সৌর সাল। যাকে সংশোধন করেছিলেন বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিদ উমর খৈয়াম (মৃত্যু ১১২৩ খ্রি.)। বাংলাদেশের ফসলি সনের সাথে যে উমর খৈয়মের হিসাবপত্রের কোনো যোগাযোগ আছে সেটা বাংলাদেশের খুব কম লোকই জানে। উমর খৈয়াম তার গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের বই লিখেছেন আরবি ভাষায়। কিন্তু কবিতা লিখেছেন তার মাতৃভাষা ফারসিতে। তৈম্রু লং-এর নাতি-ছেলে উলুঘ বেগ ছিলেন একজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ। একসময় জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিম বিশ্ব ছিল যথেষ্ট এগিয়ে। যার কথা এখন ভাবতে পারা যায় না।
এখন নানাভাবেই আমাদের জাতীয়তাবাদের শিকড় খোঁজা হচ্ছে। নানা বিভ্রান্তিকরভাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হচ্ছে জাতিসত্তার ভিত্তিভূমি। যেমন বাংলা নববর্ষে খাওয়া হচ্ছে পান্তাভাত দিয়ে ইলিশ মাছ। যা এ দেশের মানুষ কোনো দিন ইতঃপূর্বে খাননি। এ দেশের লোককবি গান বেঁধেছেন : ‘লম্বা লম্বা বিচা কলা, পয়দা করচেন আল্লাহতালা বান্দারা তা পান্তা দিয়া খাইবে।’ লোকে পান্তাভাতের সঙ্গে খেয়েছে বিচা কলা; ইলিশ-ভাজা নয়। এই ছিল আমাদের গণসংস্কৃতি। কিন্তু একদল বুদ্ধিজীবী (ভারতপ্রেমী?) আমাদের সব অতীতকে যেন এখন দিতে চাচ্ছেন বদলে।
এখন বাদশা আকবরকে এবং মুঘল আমলকে বড় করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। অথচ আসল বাংলার ইতিহাস খোঁজা উচিত সুলতানি আমলের মধ্যে; মুঘল বাদশাহী আমলের মধ্যে নয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৩৩৮ সাল থেকে ১৫৭৬ সাল পর্যন্ত সময়কে বলা হয় স্বাধীন সুলতানি আমল। এই আমলে যেসব শিলালিপি পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রধানত আরবি ভাষায় লিখিত। যার থেকে অনুমান করা চলে, এই সময় ছিল রাজকার্যে আরবি ভাষার বিশেষ প্রভাব; ফারসি ভাষার নয়।
মুঘল আমলে যেসব শিলালিপি পাওয়া গেছে, তা প্রধানত ফারসি ভাষায় লিখিত। বাংলা ভাষার ইতিহাস রচক দীনেশচন্দ্র সেন তার History of the Bengali Language and Literature বইতে বলেছেন যে, বাংলার স্বাধীন সুলতান এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারীরা বাংলা ভাষা সাহিত্য উন্নয়নে জুগিয়েছেন বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদিত হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরে প্রকাশিত হয় ময়মনসিংহ গীতিকা। যাতে আমরা পাই একাধিক মুসলিম গীতিকারের নাম। এই গীতিকাহিনীগুলো খুবই উন্নতমানের। এগুলোর মধ্যে ফুটে উঠেছে উপন্যাসের রূপ। বাংলাদেশকে বুঝতে হলে নবাবী আমলে রচিত গ্রামবাংলার এসব কাহিনীগুলোকে এখনো পাঠ করতে হয়। পান্তাভাতে ইলিশ খেয়ে যা আদৌ সম্ভব নয়।
আমরা আলোচনা করছিলাম পয়লা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে। ব্রিটিশ শাসনামলে পয়লা বৈশাখে দোকানে দোকানে হালখাতা করা হতো। এর মধ্যেই সীমিত ছিল পয়লা বৈশাখ উদযাপন। কিন্তু এখন পয়লা বৈশাখ উদযাপিত হতে চাচ্ছে বাঙালি জাতীয়তাবাদের অংশ হিসেবে। যা করার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে বলে মনে হয় না। কেননা অন্যরাও পয়লা বৈশাখ যদি চান, তবে তাদের নিজেদের বলেও দাবি করতে পারেন।
লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায়, ১৯ এপ্রিল ২০১৯।