বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে পত্রপত্রিকায় অনেক আলোচনা হচ্ছে। যা পড়ে অনেকের মনে হতে পারে যে, জলবায়ু সম্পর্কে আমাদের সাধারণ জ্ঞানের আছে যথেষ্ট ঘাটতি। তাই আমরা এ প্রসঙ্গে কিছু প্রাথমিক বিষয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। এসব কথা ভূগোলের ছাত্রদের খুবই জানা। এদের কথা স্কুলপাঠ্য ভূগোল বইতেও আলোচিত। একসময় মানুষ জানত না দিন-রাত্রি কেন হয়; সন্ধ্যার পর সূর্য কোথায় চলে যায়, আবার প্রভাতে ফিরে আসে। সূর্যের এই আপাত চলে যাওয়া আর ফিরে আসা নিয়ে রচিত হয়েছে নানা দেশের নানা কাহিনী। একইভাবে শীত-গ্রীষ্ম কেন হয়, সে কথাও মানুষ একসময় জানত না। আর এই প্রসঙ্গেও তাই রচিত হয়েছে নানা কল্পকাহিনী। কিন্তু আমরা এখন জানি, দিবা-রাত্র কেন হয়; কেন হয় ঋতু পরিবর্তন। দিন-রাত্রি হওয়ার কারণ, পৃথিবী তার অক্ষের ওপর ঘুরপাক খাচ্ছে, যাকে বলা হয় আহ্নিক গতি। অন্য দিকে পৃথিবী এক দিকে হেলে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে তাই হচ্ছে ঋতু পরিবর্তন। একটা দেশের জলবায়ু বলতে বোঝায় তার ঋতু পরিবর্তনের ধারাকে। কিন্তু বাংলাদেশে যেভাবে আগে ঋতু পরিবর্তন হয়েছে এখনো প্রায় সেই একইভাবেই হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আসেনি কোনো বিরাট পরিবর্তন। আর এ ক্ষেত্রে মানুষের কার্যকলাপ যে গুরুতর পরিবর্তন আনতে পারে তাও নয়। জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত হয়ে চলেছে প্রাকৃতিক নিয়মেই। তবে একটা দেশের জলবায়ুতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে স্থানীয় ভৌগোলিক অবস্থার পরিবর্তনের ফলে।
বাংলাদেশ ছিল একটি নদীমাতৃক দেশ। নদীর কারণে এর জলবায়ু যে রকম ছিল, নদীতে পানি না থাকলে তা যে আর আগের মতো থাকবে না এটা অনুমান করতে পারা যায় সহজে। ভারতের মধ্য দিয়ে ৫৪টি নদীর পানি বয়ে আসছে বাংলাদেশে। ভারত চাচ্ছে এসব নদীর পানি একতরফাভাবে গ্রহণ করতে। যার ফলে বাংলাদেশের নদীগুলোর অবস্থা যাবে বদলে। আর স্থানীয়ভাবে অবশ্যই আসবে জলবায়ুতে পরিবর্তন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলেছে আমাদের দেশের পত্রপত্রিকায়। আমাদের দেশের পত্রপত্রিকায় যা লেখা হচ্ছে, তা পড়ে মনে হতে পারে, বাংলাদেশের মানুষের কার্যকলাপ ঘটাতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জলবায়ুর পরিবর্তন। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী বাংলাদেশের মানুষ নিজেই। যেটা সত্য নয়। খুব সম্প্রতি বিলাতের খ্যাতনামা দৈনিক পত্রিকা দ্যা গার্ডিয়ান (১৮ মে ২০১৬)-এ ভারতীয় সাংবাদিক বিধি দোশি মুম্বাই থেকে লিখেছেনÑ ভারত সরকার খাল কেটে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আসাম থেকে নিয়ে ফেলতে চাচ্ছে গঙ্গায়। আর গঙ্গা থেকে সেই পানি খাল কেটে নিতে চাচ্ছে চাষের জন্য পশ্চিম, উত্তর এবং দক্ষিণের নানা জায়গায়। পরিকল্পনাটি নতুন নয়। এটি প্রথম বিশেষভাবে করেন ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা গান্ধীর করে যাওয়া এই পরিকল্পনাটিকেই বাস্তবায়িত করতে চাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি সরকার, প্রায় হুবহুভাবে।
১৯৭১ সালে আমরা ইন্দিরা গান্ধীকে যথেষ্ট সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখন বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না, কেন ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন সাবেক পাকিস্তানকে ভেঙে দিতে। সাবেক পাকিস্তানকে ভেঙে দিতে না পারলে এ ধরনের পরিকল্পনা নেয়া কখনোই সম্ভব হতে পারত না। মোদি সরকার চাচ্ছেন ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি নিয়ে সেই পানি প্রথমে গঙ্গায় এবং পরে আরো ৩০টি নদীতে নিয়ে যেতে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি অবশ্য কেবল যে ভারতই নিয়ে যেতে চাচ্ছে, তা নয়। ব্রহ্মপুত্র নদের তিব্বতী নাম হলো সাংপো। সাংপো থেকে খাল কেটে পানি নিয়ে যেতে চাচ্ছে চীন, তার সেচের প্রয়োজনে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পানি আসত ব্রহ্মপুত্র তথা যমুনা দিয়ে। যমুনার চেহারা আর আগের মতো থাকবে না। অন্য দিকে, যেহেতু যমুনা দিয়ে আর আগের মতো পানি আসবে না, তাই পদ্মার পানিও যমুনার পানির সাথে ধাক্কা খেয়ে মন্থর হবে না, গড়িয়ে যাবে দ্রুত। যার ফলে পদ্মাও যেতে চাইবে শুকিয়ে। অর্থাৎ বাংলাদেশের ভূগোলের ঘটবে বিরাট পরিবর্তন। যেহেতু বাংলাদেশের নদীপ্রবাহ আর আগের মতো থাকবে না, তাই জোয়ারের সময় যে পরিমাণ লবণ বাংলাদেশের দক্ষিণভাগে আসে তা পারবে না ধুয়ে যেতে। আমাদের বহু জমি হয়ে পড়বে চাষবাসের অনুপযোগী। আরেক কথায় উষর।
বাংলাদেশের জীবন গড়ে উঠেছিল ভাত-মাছকে কেন্দ্র করে। কিন্তু নদী না থাকলে মাছ-ভাতের জীবন আর বজায় রাখা সম্ভব হবে না। আমাদের বস্তুগত সংস্কৃতির ধারা যাবে বদলে। সব ফসল ফলাতে একই পরিমাণ পানি লাগে না। এক কেজি গম ফলাতে যেখানে লাগে ১৫০০ লিটার পানি, সেখানে এক কেজি ধান ফলাতে পানি লাগে প্রায় ৩০০০ লিটার। ধানের জায়গায় শীতকালে আমাদের বাড়াতে হবে গমের চাষ। কমাতে হবে ধান চাষ। যাকে এখন আমরা বলছি বোরো ধান। আগে যাকে বলা হতো বোরো ধান, তা আবাদ করা হত শীতকালে বিলের ধারে। যার আবাদ এখন উঠে গেছে। বর্তমানে যাকে এখন বলা হচ্ছে বোরো, তা আবাদ করতে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এই আবাদ তাই বন্ধ করতে হবে। অনেক ফসল আছে যার আবাদে অনেক কম পানির প্রয়োজন হয়। যেমন চিনা ও কাউন, আমরা খেয়েছি দুর্ভিক্ষ প্রপীড়িত অবস্থায়। কিন্তু পানির অভাবে আমাদের দেশের কৃষি এমনই এক অবস্থার মধ্যে পড়তে পারে যে, আমরা এসব আহার করে বাঁচতে বাধ্য হবো। বিরাট এক অন্নাভাব নেমে আসতে যাচ্ছে আমাদের সমগ্র জাতির জীবনে।
কিন্তু আমাদের পরিবেশবাদীরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্যে যেতে চাচ্ছেন না। তাদের আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে সুন্দরবন রক্ষা। কিন্তু সুন্দরবন রক্ষা করে আমরা আমাদের খাদ্যাভাব মেটাতে পারব না। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে হলে দক্ষিণ বাংলায় বাড়াতে হবে সমুদ্রবন্দর। যাতে সুন্দরবনের কিছু না কিছু ক্ষতি হবেই। কিন্তু আমাদের মেনে নিতে হবে এই ক্ষতিটি। দেশের কলকারখানা চালাতে হলে বাড়াতে হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। আর এর জন্য স্থাপন করতে হবে অনেক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। আমাদের পরিবেশবাদীরা বলছেন, এর ফলে নাকি আমাদের পরিবেশ যাবে অনেক বদলে; জলবায়ু হবে প্রভাবিত। কিন্তু কীভাবে এবং কতটা, তার কোনো হিসাব দিচ্ছেন না এরা। এরা সবকিছুই বলছেন হাত-আন্দাজে; গবেষণাভিত্তিক জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে নয়।
উদ্ভিদবিদ্যার অনেক সাধারণ জ্ঞান এদের আছে বলে মনে হচ্ছে না। উদ্ভিদবিদ্যায় বলা হয়, বাতাসে কার্বন-ডাইঅক্সাই বাড়া ভালো। কেননা, এর ফলে বাড়বে ফসলের উৎপাদন। কেননা, কার্বন-ডাইঅক্সাইড কাজ করে বাতাসী-সার (Aerial Manure) হিসাবে। বাতাসে কার্বন-ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বাড়লে তা দ্রবীভূত হয় সমুদ্রের পানিতে, যা এককোষী সোনালি শৈবাল গ্রহণ করে সমভাপন্ন করতে পারে তার সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া। আর এর ফলে উৎপন্ন হতে পারে মুক্ত অক্সিজেন, যা বাতাসে যুক্ত হয়ে বাতাসকে মুক্ত অক্সিজেন সমৃদ্ধ করতে পারে। ডাঙার গাছ-পালা সব কেটে ফেললেও তার জন্য বাতাসে মুক্ত অক্সিজেনের তেমন কোনো অভাব ঘটার সম্ভাবনা নেই। কেননা, সমুদ্রের শৈবাল বিশেষ করে সোনালি শৈবাল আগের তুলনায় অনেক বেশি মুক্ত অক্সিজেন বাতাসে যুক্ত করবে। কিন্তু আমাদের পত্রপত্রিকায় ছড়ানো হচ্ছে পরিবেশ দূষণের ভয়। বলা হচ্ছে আমরা যে হারে গাছপালা কাটছি, তাতে ঘটবে মুক্ত অক্সিজেনের ঘাটতি।
সুন্দরবন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু সুন্দরবনে এমন গাছ হয় না, যা দিয়ে ভালো তক্তা হতে পারে, বানানো যেতে পারে আসবাবপত্র। সুন্দরবনে বড় গাছপালা হয় না। এখন যেখানে সুন্দরবন সেখানে ছিল জনপদ। তার বহু প্রমাণ পাওয়া গেছে। মেজর জেমস রেনল, যিনি প্রথম (১৭৬৪-৭৬) বিস্তারিতভাবে জরিপ করে বাংলার মানচিত্র আঁকেন। তিনি বলেছেন যে, তিনি বয়স্ক ব্যক্তিদের মুখে শুনেছেন যে, একসময় বর্তমান সুন্দরবন অঞ্চলে ছিল জনবসতি। কিন্তু মগ জলদস্যুদের অত্যাচারে ওই অঞ্চল হয়ে ওঠে জনশূন্য। আর গড়ে উঠতে থাকে সুন্দরবন। কিন্তু আমাদের পরিবেশবাদীদের অনেকের লেখা পড়ে মনে হচ্ছে যে, সুন্দরবন ওই অঞ্চলে বহু দিন আগে থেকেই আছে। যেটা সত্য নয়। ব্রিটিশ উদ্ভিদবিদ্যাবিদ ডেভিড প্রেনের (David Prain) মতে, সুন্দরবন নাম হয়েছে, সুন্দরবনে ‘সুঁদরী’ গাছ হয় বলে। এই গাছটি কেবল বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলেই হতে দেখা যায়। বিশ্বের আর কোথাও হতে দেখা যায় না। সুন্দরবনের খানিকটা অংশ পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে। কিন্তু এই অংশে সুন্দরী গাছ দেখা যায় না। হতে দেখা যায় প্রধানত গরান গাছ। সুন্দরবনকে চলতি ভাষায় বলা হয় ‘বাদারবন’। বাদা শব্দটা আরবি। বাদা বলতে বোঝায় জলাবদ্ধ অঞ্চলকে। বিশেষ করে লবণাক্ত জলাভূমিকে। এরকম অঞ্চলে যে বনভূমি গড়ে ওঠে তাকে ইংরেজিতে বলে ম্যানগ্রোভ। সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ। কিন্তু এটা নিয়ে আমাদের গৌরব করার কিছু কারণ নেই। সুন্দরবন আসলে একটি অর্থকরী বন নয়। সুন্দরবন রক্ষার নামে সমুদ্রবন্দর গড়তে বাধা দেয়া হবে এ দেশের অর্থনীতির জন্য বড় রকমেরই ক্ষতির কারণ।
আমরা আলোচনা করছিলাম বাংলাদেশের জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে। কিন্তু জলবায়ু নির্ভর করে পৃথিবী একদিকে হেলে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার কারণে। গ্রীষ্মকালে দিন বড় হয়, শীতকালে বড় হয় রাত। মানুষের ক্রিয়াকলাপের জন্য এর ব্যত্যয় হতে পারে না। ভূগোলে নাতিশীতষ্ণ মণ্ডল বলতে বোঝায় কর্কটক্রান্তি থেকে সুমেরু বৃত্ত পর্যন্ত অঞ্চলকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধের মকরক্রান্তি থেকে কুমেরু বৃত্ত পর্যন্ত অঞ্চলকে। উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে প্রধানত চারটি ঋতু হতে দেখা যায়। এরা হলো বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ এবং শীত। বসন্ত ধরা হয় মার্চ, এপ্রিল মে মাসকে। গ্রীষ্ম ধরা হয় জুন জুলাই এবং আগস্টকে। শরৎ ধরা হয় সেপ্টেম্বর অক্টোবর ও নভেম্বরকে। আর শীতকাল ধরা হয় ডিসেম্বর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিকে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে গেছে কর্কটক্রান্তি। তবে বাংলার বেশিরভাগটাই পড়ে কর্কটক্রান্তির উত্তরে। অর্থাৎ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের মধ্যে। কিন্তু শীত এখানে প্রবলভাবে পড়ে না। হিমালয় পর্বত না থাকলে হয়তো আমাদের দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বরফ পড়ত সাইবেরিয়া থেকে আসা ঠাণ্ডা হাওয়ার প্রভাবে। বিখ্যাত ব্রিটিশ ভূগোলবিদ ডাডলে স্টাম্প (Sir Dudley Stamp) বাংলাদেশের জলবায়ুকে বলেছেন গ্রীষ্মপ্রধান মওসুমি। কেননা, এখানে গ্রীষ্ককালে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। তিনি আমাদের ঋতুকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করেছেন। এরা হলো গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত। গ্রীষ্মকাল বলতে বুঝিয়েছেন মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সময়কে। বর্ষা বলতে বুঝিয়েছেন জুন মাসের মধ্যভাগ থেকে অক্টোবর মাসের মধ্য ভাগ পর্যন্ত। এ সময় যথেষ্ট গরম থাকলেও খুব বেশি বৃষ্টিপাত ঘটে দক্ষিণ-পশ্চিম মওসুমি বায়ুর প্রভাবে। শীতকাল বলতে তিনি বুঝিয়েছেন মধ্য অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ ভাগ পর্যন্ত সময়কে। এ সময় আমাদের দেশে বৃষ্টিপাত হয় না বললেই চলে এবং তাপমাত্রা নেমে আসে ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কাছে। কখনো কখনো চার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে আসে। তবে বেশি সময়ের জন্য নয়।
আমাদের দেশের জলবায়ু বলতে এখনো বোঝায় প্রধানত তার এই ঋতু বিভাগকে। কিন্তু আমাদের পরিবেশবাদীরা বলছেন, আমাদের জলবায়ু নাকি আমাদের কার্যকলাপের ফলে যেতে বসেছে বিরাটভাবে বদলে। যেটা সত্য নয়। আমাদের জলবায়ু এখনো হয়ে আছে গ্রীষ্মপ্রধান মওসুমি। তবে আমাদের নদীর পানি ভারত ও চীনের কারণে আর আগের মতো আসবে না। ফলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থা যাবে অনেক পাল্টে। আর সেইসাথে বদলে যাবে বেশ কিছুটা জলবায়ু। আমাদের পানি সমস্যার সমাধান করতে হবে বর্ষাকালের বৃষ্টির পানিকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করে। অন্যভাবে এই জটিল সমস্যার কোনো সমাধান করা যাবে বলে মনে হয় না। কেননা, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে যদি নদীর পানি ভাগ হয়, তবে আমাদের নদীতে আর আগের মতো পানি আসবে না।
দৈনিক নয়াদিগন্ত/১০ জুন ২০১৬