“আজ আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী বলছেন, পাকিস্তান হওয়াটা ছিল ভুল। কিন্তু পাকিস্তান হওয়াটা ভুল হয়ে থাকলে বর্তমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কোন Locus Stardi থাকতে পারে না। কারণ সাবেক পাকিস্তান রাষ্ট্র খন্ডিত হয়ে উদ্ভব হয়েছে বর্তমান বাংলাদেশের। নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠিত হয়। কিন্তু মুসলিম লীগ প্রথমে পাকিস্তানের দাবি তোলেনি। তুলেছে অনেক পরে। অনেকে বলেন, মুসলিম লীগ ছিল বৃটিশ রাজ্যের তৈরি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ভারতের কংগ্রেস দলটি গঠিত হয়েছিল বোম্বাই (মুম্বাই)- শহরে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে অবসরপ্রাপ্ত বৃটিশ আইসিএস কর্মকর্তা অ্যালেস ও কঠাভিয়াস হিউম এর উদ্যোগে এবং ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডাফরিনের সমর্থনে। লর্ড ডাফরিন বলেন, কংগ্রেস হবে ভারত সম্রাজ্ঞীর স্থায়ী অনুগত বিরোধী দল। সিপাহী বিদ্রোহের ২৮ বছর পর বৃটেন ভারতে শুরু করে, ভারতের রাজনীতি যাতে নিয়মতান্ত্রিক পথে চলতে চায় তার ব্যবস্থা করবার কথা। হিউস ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অ্যাংলো ইন্ডিয়ান অফিসার ও বৃটিশ নাগরিক। বৃটেনের উদ্যোগে সরাসরি গঠিত হয়েছিল এই দল। মুসলিম লীগ এভাবে কোন বৃটিশ অথবা কোন বিদেশী নাগরিকের উদ্যোগে গঠিত হওয়া দল ছিল না। তিনজন বৃটিশ ১৮৮৫ থেকে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কংগ্রেসে দলের সভাপতি হতে পেরেছিলেন। মুসলিম লীগের কোন বছরের সভায় কোন ইংরেজ সভাপতি হননি। কিন্তু তবু বলা হয় মুসলিম লীগ নাকি ছিল বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের দালাল। আর কংগ্রেস ছিল বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী।”
বিশিষ্ট শিক্ষক, লেখক, গবেষক এবনে গোলাম সামাদ তার লেখা গ্রন্থ ‘আমার স্বদেশ ভাবনা’ বৃটিশ শাসনামলের রাজনীতি’ শিরোনামে উল্লিখিত কথাগুলো লিখেছেন।
এবনে গোলাম সামাদ বৃটিশ আমলে রাজশাহীতে ১৯২৯ সালে ২৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে শিক্ষা সংঘ বিষ্ণুপুর থেকে বি. কোর্স পাস করেন যা মাধ্যমিক পরীক্ষার সমমান। তিনি ১৯৪৯ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার তেজগাঁও কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে কৃষি বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। উদ্ভিদ রোগতত্ত্বের উপর উচ্চতর গবেষণার জন্য তিনি বিলেত গমন করেন। তিনি ফ্রান্সের পোয়াতিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীবানুতত্ত্বে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে বিলেত থেকে দেশে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৬৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন।
ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে অধ্যাপক এবনে গোলাম সামাদ এর সঙ্গে আলাপ বা পরিচয় হওয়ার সুযোগ হয়নি। তিনি সব সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তথা রাজশাহী থেকে নিজের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে লেখার মাধ্যমে। তিনি বাংলাদেশের একজন পণ্ডিত, চিন্তাবিদ, বহুমাত্রিক লেখক এবং স্বনামধন্য কলামিস্ট। তিনি একজন বিখ্যাত উদ্ভিদ বিজ্ঞানী। বিজ্ঞান নিয়ে জীবনের শুরু থেকে তার গবেষণা। কিন্তু তার লেখার মধ্যে ইতিহাস ঐতিহ্য, শিল্পকলা ভূগোল, রাজনীতির মৌলিক বিষয় সমূহ বেশ লক্ষণীয়।
বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু অধিক ভালবাসতেন আমাদের সাহিত্য, শিল্পকলা। তাই পত্র-পত্রিকায় এই সকল বিষয় নিয়ে তিনি নিয়মিত নানা কলাম লিখেছেন। আমাদের শিল্পের সংস্কৃতির মূলে তিনি বিচরণ করেছেন। অতি সূক্ষভাবে সমাজ সংস্কৃতিকে তিনি তাঁর লেখনির মাধ্যমে পাঠকের নিকট সহজ করে তোলে ধরেছেন।” আমাদের সাহিত্য ও শিল্পকলা শিরোনামে বলেন-
“বাংলাদেশের গ্রামে মুসলমানরা খুব সুন্দর করে বাঁশের ঘর নির্মাণ করতেন। এতে বাঁ নানাভাবে কেটে ব্যবহার করা হতো। তাতে খোদাই করা হতো অনেক রকম নকশা। ঘরের মধ্যে লাগানো হতো ছোট ছোট অনেক আয়না। রাতে ঘরের মধ্যে যখন জ্বালানো হতো মোমবাতি, তখন মোমবাতির আলো প্রতিফলিত হয়ে সারা ঘরের পরিবেশ উঠত ঝলমলে। আমি আমার
ছেলেবেলায়ও মধ্য বাংলায় এরকম বাঁশের ঘর তৈরি হতে দেখেছি। তাতে সে সময় খরচ পড়তো প্রায় চার-পাঁচ হাজার টাকা। কেবলমাত্র সম্পন্ন মুসলমানরাই শখ করে বানাতেন এরকম বাঁশের সুসজ্জিত ঘর।”
তিনি গ্রাম বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেছেন। তাঁর লেখায় বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি চিত্র চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। মুসলিম সংস্কৃতি, সাহিত্য নিয়ে নানা পর্বে তিনি কলাম লিখেছেন। উল্লিখিত প্রবন্ধের অন্য এক স্থানে তিনি লিখেছেন-
“মুসলমানরা থাকতেন প্রধানত গ্রামে। গ্রামে সাহিত্য চর্চা হতো। যার পরিচয় আমার বিশেষভাবে পাই দীনেশ চন্দ্র সেন (১৮৮৬-১৯৩৯) মহাশয় কর্তৃক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত ময়মনসিংহ গীতিকায়। দীনেশ চন্দ্র সেন লিখেছেন যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক হিন্দু অধ্যাপক ময়মনসিংহ গীতিকা প্রকাশের বিরোধিতা করেছিলেন। বলেছিলেন, মুসলমান চাষাভূষাদের মধ্যে প্রচলিত এসব কাহিনী প্রকাশ করে কি হবে? কিন্তু তখন আমরা জানি যে, এইসব কাহিনীর সাহিত্য মূল্য আছে যথেষ্ট। এইসব কাহিনীকে ঠিক লোক সাহিত্য বলা যায় না। কারণ এই সব কাহিনী রচকদের অনেকের নাম পাওয়া যায় না। যাদের অনেকেই হলেন মুসলমান। যেহেতু এই সব কাহিনীর রচকদের নাম পাওয়া যায়, তাই এদের গণ্য করতে হবে ব্যক্তি-কল্পনার সৃজন হিসাবে, লোকসাহিত্য হিসাবে নয়। লোক সাহিত্য গড়ে উঠে বহু অজানা ব্যক্তির প্রচেষ্টায়। কোন এক ব্যক্তির চেষ্টায় নয়। ময়মনসিংহ গীতিকার ধারায় কাব্য কাহিনী রচনা করে বিশ্বখ্যাতি লাভ করেছেন কবি জসীমউদ্দিন (১৯০৩-১৯৭৬)। জসীম উদ্দিনের ‘নকশিকাঁথার মাঠ’ (১৯২৯) ইংরেজীতে অনুবাদ করেন Mrs. E.M. Milford নামের মহিলা The field of the Embroidered Quilt নামে ১৯৩৯ সালে। বাংলাদেশের পল্লী সঙ্গীত সম্পর্কে দেশবাসীকে প্রথম সচেতন করে তোলেন গায়ক আব্বাস উদ্দীন (১৯০১-১৯৫৯)। অর্থাৎ বাংলার মুসলমান ১৯৪৭-এর আগে দিয়েই তার নিজস্ব সংস্কৃতি সম্পর্কে হয়ে উঠতে থাকেন সচেতন। এই সচেতনতা কাজ করেছে অনেক পরিমাণে আজকের বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টি হবার পশ্চাতে। এই রকমই আমি মনে করি।”
শুধু সাহিত্য সংস্কৃতি, শিল্পকলা নিয়ে নয়, তিনি ইতিহাস, ইতিহাসের ঘটনা, রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের চিন্তা চেতনা, লেখা গবেষণা নিয়ে নানা বিষয় লিখে গিয়েছেন। তাঁর লেখায় মুক্তচিন্তার ছাপ লক্ষ্য করা যায়। ইতিহাসের গভীরে গিয়ে তিনি লিখেছেন। তার প্রবন্ধের বিশেষ আকর্ষণ দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজনৈতিক আনুগত্যের অভাব। আছে এক ধরনের নৈব্যাক্তিক যা সচরাচর দেখা যায় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আত্মজৈবনিক রচনা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য : “শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী মনে হয়েছে একটি বহুগুণে গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এতে ধরা পড়েছে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক দর্শন। তখন আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে থাকা বাম বুদ্ধিজীবীরা প্রমাণ করতে চাচ্ছেন যে, পাকিস্তান আন্দোলনটা ছিল একটি সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত। কিন্তু শেখ মুজিব তার জীবনীতে বলেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা।”
বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, বিশ্ব রাজনীতি প্রভৃতি নিয়ে তিনি প্রচুর কলাম লিখেছেন। সকল লেখায় তার নিজস্ব আমিত্ব তিনি বজায় রেখেছেন। তাঁর চিন্তা চেতনা, প্রতিটি লেখায় পাঠকের নিকট সুন্দরভাবে ফুটে তুলেছেন। মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সম্পর্কে তিনি লিখেছেন-
“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৪ সালে ১৬ লক্ষ টন খাদ্য শস্য প্রদান করেছিল বাংলাদেশকে। এই সাহায্য না পেলে দুর্ভিক্ষে আরও অনেক মারা যেতেন বাংলাদেশে। মার্কিন এই খাদ্য সাহায্যের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। যদিও এরপর তাঁকে বিশেষভাবে ঝুঁকে পড়তে দেখা যায় সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি। যেটা ছিল ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগ। মনে হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি সোভিয়েতমুখী না হতেন, তবে তাঁর জীবনের ওই বিয়োগান্তক পরিনতি হতে পারতো না।”
এবনে গোলাম সামাদ ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে যে সকল বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে বুঝায় তিনি পবিত্র কোরআন ও হাদীস শরীফের উপর অনেক বেশি গবেষণা করেছেন। ইসলামের মৌলিক ও মূল শিক্ষা সম্পর্কে তিনি খুবই সচেতন ছিলেন। ইসলামকে তিনি হৃদয় দিয়ে ভালবাসতেন, শ্রদ্ধা করতেন এবং বিশ্বাস করতেন। এই সকল তাঁর লেখনি থেকে আমরা সহজে বুঝতে পারি।
তিনি এক প্রবন্ধে লিখেছেন-
“ইসলাম হিংস্রতাকে সমর্থন করে না। ইসলাম বিষধর সাপকে কষ্ট না দিয়ে বধ করতে বলা হয়েছে (হাদিস)। ইসলামের মহানবী তাঁর বিদায় হজের বক্তৃতায় বলেন, সকল ধর্মের মানুষের ওপর সুবিচার করতে। কারও প্রতি দুর্ব্যবহার না করতে। আল কুরআনে ১১৪টা সুরার (অধ্যায়) মধ্যে মাত্র একটি ছাড়া আর সব কটির শুরুতে বলা হয়েছে, আল্লাহ পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তবে মুসলমানেরা যে কখনও তাদের ধর্মের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি এমন নয়। তৈমুর লং সিরিয়ার বিখ্যাত বড় মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে পুড়ে মারা গিয়েছিলেন সিরিয়ার দামেস্ক শহরের বেশ কিছু আরব মুসলমান। আমি এ সব কথা বলছি, কারণ বাংলাদেশে অনেকে ইসলামকে বলতে চাচ্ছেন জঙ্গীবাদী।
কিন্তু ধর্ম হিসাবে ইসলাম জঙ্গীবাদ সমর্থন করে না। ইসলাম জিহাদ করতে বলা হয়েছে জুলুমের বিরুদ্ধে। শান্তিপ্রিয় মানুষকে বলা হয়নি আক্রমণ করতে।”
বিগত কয়েক বছর ধরে ইবনে গোলাম সামাদ দৈনিক পত্রিকায় কলাম লিখে যাচ্ছেন। রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে। তাছাড়া মূল বিষয় উদ্ভিদ বিষয়ে বেশ কয়েকটি মূল্যবান গ্রন্থ লিখেছেন। পাঠ্যপুস্তক বিষয় কেন্দ্র করে তিনি বই লিখেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ হচ্ছে-
বাংলাদেশের আদিবাসী এবং জাতি ও উপজাতি
আত্মপক্ষ
বাংলাদেশ : সমাজ সংস্কৃতি রাজনীতি প্রতিক্রিয়া
মানুষ ও তার শিল্পকলা
নৃতত্বের প্রথম পাঠ
প্রাথমিক জীবানুতত্ত্ব
বায়ান্ন থেকে একাত্তর
আমাদের রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা এবং আরাকান সঙ্কট
ইসলামী শিল্পকলা
শিল্পকলার ইতিকথা
বাংলাদেশে ইসলাম ও ঐতিহ্য,
বাংলাদেশে ইসলাম
বর্তমান বিশ্ব ও মার্কসবাদ
বাংলাদেশের মানুষ ও ঐতিহ্য,
উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব
জীবানুতত্ত্ব
উদ্ভিদ সমীক্ষা এবং
আত্মপরিচয়ের সন্ধানে প্রভৃতি।
অধ্যাপক এবনে গোলাম সামাদ বাংলাদেশের একজন গুণী ব্যক্তি। দেশের সম্পদ দেশের পরম বন্ধু। দেশের জন্য আজীবন নিজের পুরো জীবন দেশেই কাটিয়েছেন। অনেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে বিদেশে স্থায়ীভাবে নিবাস করেছে। কিন্তু তিনি দেশের টাানে দেশে ফিরে এসে দেশের জন্য কাজ করেছেন।
কিন্তু তার কর্মময় জীবনের মূল্যায়ন আমরা আজও করতে পারি নাই। বিজ্ঞানের একজন দক্ষ অধ্যাপককে আমরা আমাদের মর্যাদা দিতে পারি নাই। এ রকম জাতীয় ব্যক্তির উচিত ছিল স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ নানা পদকে ভুষিত হওয়া। কিন্তু আমরা তাাকে সেই মর্যাদায় এখনও স্থান করে দিতে পারি নাই। আশা করি আগামীতে জাতি তার মুল্যবান কৃতকর্মের জন্য যথাযথভাবে মূল্যায়িত করবে।
লেখকঃ আবুল কাসেম হায়দার, প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ এ ‘চিন্তাভাবনা ‘নামক ওয়েবজিনে।